কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

টেকনাফের ৩ কৃষক ‘মুক্তিপণ দিয়ে’ ফিরেছেন জিম্মিদশা থেকে

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত তিন কৃষক ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

তিনজন ছাড়া পেলেও আব্দুস সালাম নামে অন্য কৃষককে মুক্তিপণের দাবিতে এখনও জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা দিয়ে তিন কৃষক ফিরে আসেন।

তারা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের বড় লেচুয়াপ্রাং এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (৩২), একই এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে মুহিব ঊল্লাহ (১৫) এবং ফজলুল করিমের ছেলে আব্দুল হাকিম (৪০)।

এখন জিম্মি থাকা কৃষক হলেন একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৮)।

শনিবার রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকার ক্ষেত থেকে চার কৃষককে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।

সোমবার রাতে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ বলেছিলেন, ওইদিন সকালে অপহৃত আব্দুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তার বাবা ছৈয়দ হোসনকে ফোন করে চার কৃষককে ছেড়ে দিতে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

আবার ৪ কৃষককে অপহরণের অভিযোগ ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে
‘রোহিঙ্গাদের হাতে’ অপহৃত ৪ কৃষককে মুক্তি দিতে ‘২৫ লাখ টাকা পণ দাবি’
‘টেকনাফে অপহৃত কৃষকদের নির্যাতন চালিয়ে আর্তনাদ শোনানো হচ্ছে স্বজনদের’
ফেরত আসা কৃষকদের স্বজনের বরাতে রাশেদ বলেন, “ফেরত আসা তিন কৃষককে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা ছেড়ে দিয়েছে। জিম্মি থাকা আব্দুস সালামকে ছেড়ে দিতে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।

“আব্দুস সালামের পরিবার অন্যদের চাইতে কিছুটা অর্থশালী হওয়ায় ছেড়ে দিতে এক লাখ টাকা বেশি দাবি করছে বলে তথ্য দিয়েছে স্বজনরা।”

তবে মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কীভাবে অপহরণকারী চক্রকে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে স্বজনরা বিস্তারিত তথ্য দেননি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

মুক্তিপণের জন্য অপহৃত কৃষকদের উপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়। নির্যাতন চালানোর সময় তাদের আর্তনাদ মোবাইল ফোনে স্বজনদের শোনানোও হয়েছিল বলে ইউপি চেয়ারম্যান এর আগে জানিয়েছিলেন।

টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম বলেন, রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তিন কৃষকের ফেরত আসার খবরটি পুলিশকে জানান। সেই সঙ্গে বলেন যে আব্দুস সালাম নামের আরেকজন এখনও জিম্মি।

তবে অপহৃতদের উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে তাদের স্বজনদের কাছে কোনো ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন ওসি।

তবে তিনি বলেন, অপহৃত অপর কৃষককে উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি অন্য আইনশৃংখলা বাহিনীও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: